সংবাদ শিরোনাম :
দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন ফুলের বিছানা সিলেটে লিঙ্গ কে’টে হিজড়া তৈরির সাথে জড়িতরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে শ্রীমঙ্গলে কৃষকদলের মহা সমাবেশ কোন আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই পালিত হবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস শ্রীমঙ্গলে ২দিন ব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন সিলেটজুড়ে একাধিকচক্র মেতে উঠেছে মামলা-বাণিজ্যে হয়রানীর শিকার নিরীহ-অসহায় মানুষ তারেক জিয়ার পিপিই বিতরন করায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সম্পাদককে বহিষ্কার, ৫ বছর পর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা শ্রীমঙ্গলে মাদকের আস্তানা থেকে নগদ টাকা ও মাদকসহ আটক ৩ মৌলভীবাজারে এডাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে আটক ৩ চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা হাজী মুজিব
গ্যাসের রাজ্য সিলেটে পুরনো গ্যাসকূপে নতুন আশা

গ্যাসের রাজ্য সিলেটে পুরনো গ্যাসকূপে নতুন আশা

সিলেট-৭ নং কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে ৮০ লাখ ঘুনফুট *মজুদ ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট, উত্তোলন হবে ১৫-২০ বছর

এম,এ রউফ সিলেট : চলমান গ্যাসের সংকট নিরসনে আশার সঞ্চার করেছে সিলেটের গ্যাস। পরিত্যক্ত ঘোষণার ৩০ বছর পর সিলেট-৭ নম্বর গ্যাসকূপ সংস্কারের সময় নতুনভাবে গ্যাস ও জ্বালানী উত্তোলন শুরু হয়েছে। কূপ থেকে প্রতিদিন ৮০ লাখ ঘনফুট নতুন করে যুক্ত হবে। মজুদ রয়েছে ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। উত্তোলন করা যাবে ১৫ থেকে ২০ বছর। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযোগ দেয়া হয় সিলেট-৭ নম্বর গ্যাসকূপকে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, দুপুরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন হয়। সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এরইমধ্যে জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে এবং সোমবার থেকে সেই পরিমাণ আরও বাড়ল।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, এই কূপটি ১৯৮৬ সালে দেশের প্রথম তেল কূপ ছিল। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই কূপ থেকে ৫ লাখ ৬১ ব্যারেল তেল উৎপাদনের পর বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আবারো ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে এই কূপের অন্য একটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এই কূপ থেকে প্রায় ৩১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর আবারও বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে আবারও ওয়ার্ক ওভারের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড। সফলতাও আসে। মাত্র ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বন্ধ কূপের দুটি স্তরে ২২ অক্টোবর নতুন করে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে। পরবর্তীতে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
প্রাথমিক তথ্য মতে, প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানা যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। গতকাল সোমবার জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়।সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ১৫তম গ্যাস কূপ সিলেট-৭ নম্বর কূপ থেকে ১৫-২০ বছর গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। কূপে ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে। কূপ থেকে দৈনিক ৪ লাখ টাকার কনডেনসেট এবং ৫০ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন করা হবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, এবার পুরানো কূপে দুটি লেয়ারে গ্যাসের সন্ধান মেলে। সিলেট থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। এখন সেটি আরও বাড়ছে।
সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এরমধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে দুটি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলার ৩টিতে, রশিদপুরের ৭টি ও বিয়ানীবাজারের ২টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।
এরমধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে ১৯৫৫ সালে ৯টি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে দুটিতে গ্যাস পাওয়া যায় এবং ১৯৬১ সালে এই কূপ দুটি উৎপাদনে যায়। গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ১৯৬২ সালে সাতটি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে ৩টিতে গ্যাসের সন্ধান মেলে এবং ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায়। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ১৯৬০ সালে ১১টি কূপ খনন করে ৭টিতে গ্যাস উৎপাদনে যায় ১৯৯৩ সালে। বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডে ১৯৮১ সালে ২টি কূপ খনন করে দুটিতেই গ্যাসের সন্ধান মেলে এবং ১৯৯৯ সালে উৎপাদনে যায়।

 

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ সিলেট ভূমি ২৪